আমাদের মধ্যে প্রায় অনেকের জীবনে এমন ঘটনা ঘটেছে যে, দুর থেকে দেখে একজনকে ভুল করে অন্যজন ভেবে বসেছি। এটা আসলে চেহারার কিছু সাদৃশ্য এর কারনে ভুল গুলো হয়ে থাকে। তেমনি পশুপাখি থেকে শুরু করে কিছু ফল ফুলও আছে। যাদের চেহারা পুরোপুরি এক না হলেও দুর থেকে প্রায় একই মনেহয়।
তেমনি এক ফল হলো কেয়া ফল। যাকে দুর থেকে দেখলে আনারস বলে মনে হয়। জেনে আসা যাক এই ফল ও এর গাছ সম্পর্কে। বাংলায় কেয়া নামে পরিচিত এই ফলের বৈজ্ঞানিক নাম Pandanus tectorius।
এটি একটি অদ্ভুত সুদর্শন ফল। কেয়া ফল সাধারণত পূর্ব অস্ট্রেলিয়া ও প্যাসিফিক আইল্যান্ডস, ভারত ও আমাদের বাংলাদেশে পাওয়া যায়। এটিকে প্রবালপ্রাচীরও বলা হয়। এটি স্থানীয়ভাবে খুবই জনপ্রিয় ঔষধ ও ফল হিসেবে পরিচিত। হালা বা কেয়া ফল শুধুমাত্র মহিলা গাছে ধরে।
কেয়া Pandanaceae গোত্রেরউদ্ভিদ বিশেষ। দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার স্থানীয় গাছ। বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, জাপান, পূর্ব অস্ট্রেলিয়া, প্যাসিফিক আইল্যান্ডস প্রভৃতি দেশে প্রচুর জন্মে। বাংলাদেশের সমতলভূমি ছাড়াও সুন্দরবন , সেন্টমার্টিন -এ এই গাছ প্রচুর দেখা যায়। এই গাছগুলো পরস্পরের সাথে জড়াজড়ি করে নিবিড় এবং দুর্গম পরিবেশ তৈরি করে।
কেয়া গাছ লম্বায় ১০-১২ ফুট হয়েথাকে। এর কাণ্ড গোলাকার এবং কণ্টকময়। গাছের প্রধান কাণ্ড থেকে অনেক শাখা-প্রশাখা বের হয়।
গাছগুলো প্রায় বক্র হয়। গাছের নিম্নদেশ থেকে মোটা শাখা পর্যন্ত বেশ কিছু মূল বের হয়ে মাটিতে ভিত্তি তৈরি করে। এগুলোকে ঠেসমূল বলা হয়। এই মুল গাছের কাণ্ডকে দৃঢ়ভাবে মাটির সাথে যুক্ত করে এবং গাছের ভারবহনে সহায়তা করে। এই গাছের পাতা কাণ্ড থেকে সরাসরি পত্রমূল ছাড়াই বের হয়। পাতার গোড়া কাণ্ডের সাথে জড়িয়ে থাকে।
এর পাতা ৪ থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত লম্বা এবং ২-৩ ইঞ্চি চওড়া হয়। পাতার উভয় প্রান্তে করাতের মতো কাঁটা থাকে। পাতার অগ্রভাগ সরু। পাতাগুলোর অগ্রভাগ মাটির দিকে অবনত থাকে। অনেক সময় দেখে হয় যে, যেন পাতার মাঝখান থেকে ভেঙে গেছে। পাতার রঙ সবুজ এবং উভয় তল মসৃণ।
কেয়া একলিঙ্গীক গাছ। পুরুষ কেয়াকে বলা হয় সিত কেতকী এবং স্ত্রী কেতকীকে বলা হয় স্বর্ণ কেতকী বা হেম কেতকী। এর ফুল ফোটে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে। এই কারণে বাংলাদেশে একে বর্ষার ফুল বলা হয়। এর ফুলের রঙ সাদা এবং গন্ধযুক্ত। আশ্বিন কার্তিক মাসে গুচ্ছাকারে ৫-২০ পর্যন্ত ফল হয়। এই ফলের গাত্র বেশ শক্ত হয়। দূর থেকে এই গুচ্ছ ফলকে আনারসের মতো মনে হয়। এর রঙও আনারসের মতো লালচে হয়ে থাকে।
এই গাছের ফুল থেকে সুগন্ধী তেল তৈরি করা হয়। এই তেলকে কেওড়া তেল বলা হয়।।
কেয়া ফলের গাছ থেকে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এটি অনেক কিছুতেই ব্যবহার করা হয়।
১) ফল কাঁচা বা রান্না খাওয়া যায়।
২) ফলের FIBROUS প্রকৃতির একটি প্রাকৃতিক দাঁতের রেশমের ফেঁসো তোলে।
৩) গাছ এর পাতা বিভিন্ন হিসেবে ব্যবহার হয়। যেমন কায়া জ্যাম হিসাবে খাওয়া হয়। এর মিষ্টি গন্ধ থালা -বাসনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
৪) পাতার বিভিন্ন ঔষধি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়, মাথাব্যাথায় এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে কেয়া ফুলের তৈরি তেল ব্যবহৃত হয়।
৫) এটির পাতার গন্ধও বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি তে ব্যবহার করা হয়। শ্রীলংকান পাকপ্রণালীর তে এটি বেশ জনপ্রিয়।
৬) পাতার ঝুড়ি, মাদুর পাল – খাটানর দণ্ডবিশেষ, নৌকো পাল, তালপাতা ছাদ, তৈরিতেও এতি ব্যবহার করা হয়।
৭) শুষ্ক ফাইবার পেইন্টিং এর জন্য ব্রাশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর কাপা/ টাপা (একধরনের পেইন্ট) মুছে ফেলা কঠিন।
সুত্রঃ ইন্টারনেট ও উইকিপিডিয়া।
তেমনি এক ফল হলো কেয়া ফল। যাকে দুর থেকে দেখলে আনারস বলে মনে হয়। জেনে আসা যাক এই ফল ও এর গাছ সম্পর্কে। বাংলায় কেয়া নামে পরিচিত এই ফলের বৈজ্ঞানিক নাম Pandanus tectorius।
এটি একটি অদ্ভুত সুদর্শন ফল। কেয়া ফল সাধারণত পূর্ব অস্ট্রেলিয়া ও প্যাসিফিক আইল্যান্ডস, ভারত ও আমাদের বাংলাদেশে পাওয়া যায়। এটিকে প্রবালপ্রাচীরও বলা হয়। এটি স্থানীয়ভাবে খুবই জনপ্রিয় ঔষধ ও ফল হিসেবে পরিচিত। হালা বা কেয়া ফল শুধুমাত্র মহিলা গাছে ধরে।
কেয়া Pandanaceae গোত্রেরউদ্ভিদ বিশেষ। দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার স্থানীয় গাছ। বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, জাপান, পূর্ব অস্ট্রেলিয়া, প্যাসিফিক আইল্যান্ডস প্রভৃতি দেশে প্রচুর জন্মে। বাংলাদেশের সমতলভূমি ছাড়াও সুন্দরবন , সেন্টমার্টিন -এ এই গাছ প্রচুর দেখা যায়। এই গাছগুলো পরস্পরের সাথে জড়াজড়ি করে নিবিড় এবং দুর্গম পরিবেশ তৈরি করে।
কেয়া গাছ লম্বায় ১০-১২ ফুট হয়েথাকে। এর কাণ্ড গোলাকার এবং কণ্টকময়। গাছের প্রধান কাণ্ড থেকে অনেক শাখা-প্রশাখা বের হয়।
গাছগুলো প্রায় বক্র হয়। গাছের নিম্নদেশ থেকে মোটা শাখা পর্যন্ত বেশ কিছু মূল বের হয়ে মাটিতে ভিত্তি তৈরি করে। এগুলোকে ঠেসমূল বলা হয়। এই মুল গাছের কাণ্ডকে দৃঢ়ভাবে মাটির সাথে যুক্ত করে এবং গাছের ভারবহনে সহায়তা করে। এই গাছের পাতা কাণ্ড থেকে সরাসরি পত্রমূল ছাড়াই বের হয়। পাতার গোড়া কাণ্ডের সাথে জড়িয়ে থাকে।
এর পাতা ৪ থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত লম্বা এবং ২-৩ ইঞ্চি চওড়া হয়। পাতার উভয় প্রান্তে করাতের মতো কাঁটা থাকে। পাতার অগ্রভাগ সরু। পাতাগুলোর অগ্রভাগ মাটির দিকে অবনত থাকে। অনেক সময় দেখে হয় যে, যেন পাতার মাঝখান থেকে ভেঙে গেছে। পাতার রঙ সবুজ এবং উভয় তল মসৃণ।
কেয়া একলিঙ্গীক গাছ। পুরুষ কেয়াকে বলা হয় সিত কেতকী এবং স্ত্রী কেতকীকে বলা হয় স্বর্ণ কেতকী বা হেম কেতকী। এর ফুল ফোটে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে। এই কারণে বাংলাদেশে একে বর্ষার ফুল বলা হয়। এর ফুলের রঙ সাদা এবং গন্ধযুক্ত। আশ্বিন কার্তিক মাসে গুচ্ছাকারে ৫-২০ পর্যন্ত ফল হয়। এই ফলের গাত্র বেশ শক্ত হয়। দূর থেকে এই গুচ্ছ ফলকে আনারসের মতো মনে হয়। এর রঙও আনারসের মতো লালচে হয়ে থাকে।
এই গাছের ফুল থেকে সুগন্ধী তেল তৈরি করা হয়। এই তেলকে কেওড়া তেল বলা হয়।।
কেয়া ফলের গাছ থেকে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এটি অনেক কিছুতেই ব্যবহার করা হয়।
১) ফল কাঁচা বা রান্না খাওয়া যায়।
২) ফলের FIBROUS প্রকৃতির একটি প্রাকৃতিক দাঁতের রেশমের ফেঁসো তোলে।
৩) গাছ এর পাতা বিভিন্ন হিসেবে ব্যবহার হয়। যেমন কায়া জ্যাম হিসাবে খাওয়া হয়। এর মিষ্টি গন্ধ থালা -বাসনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
৪) পাতার বিভিন্ন ঔষধি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়, মাথাব্যাথায় এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে কেয়া ফুলের তৈরি তেল ব্যবহৃত হয়।
৫) এটির পাতার গন্ধও বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি তে ব্যবহার করা হয়। শ্রীলংকান পাকপ্রণালীর তে এটি বেশ জনপ্রিয়।
৬) পাতার ঝুড়ি, মাদুর পাল – খাটানর দণ্ডবিশেষ, নৌকো পাল, তালপাতা ছাদ, তৈরিতেও এতি ব্যবহার করা হয়।
৭) শুষ্ক ফাইবার পেইন্টিং এর জন্য ব্রাশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর কাপা/ টাপা (একধরনের পেইন্ট) মুছে ফেলা কঠিন।
সুত্রঃ ইন্টারনেট ও উইকিপিডিয়া।
No comments:
Post a Comment